যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন

১৭ ই  মার্চ (রবিবার ),ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এ অনুষ্ঠিত হলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস– ২০২৪। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে’।

সকাল ১১ টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর  মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা ।  কোরআন তেলাওয়াত করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের ৩য় পর্বে শিক্ষার্থী মোঃ আরিফুল ইসলাম মেকানিক্যাল টেকনোলজি ।  আলোচনা সভাটি পরিচালনা করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির  ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজির ১ম পর্বের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বিশ্বাস।

উক্ত সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর ছাত্র-ছাত্রীদের ও পোস্টার উপস্থাপনা প্রতিযোগিতা ,বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর রচনা প্রতিযোগিতা এবং কবিতা আবৃত্তি ,আলোচনা সভা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎযাপন করা হয়  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান– এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস– ২০২৪। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে- শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর চেতনাকে কিভাবে প্রতিফলিত করা যায় সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস  উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, পোস্টার উপস্থাপনা  ও  রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির কালচারাল ক্লাবের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করে ।

আলোচনা সভার শেষে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি সকলকে বঙ্গবন্ধুর মত আদর্শ মানুষ ,আদর্শ শিক্ষার্থী হয়ে নিজের প্রতিভা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘোষণা করেন।

ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উদযাপন

স্বাধীন বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ প্রতিবছর অমর একুশের শহীদ দিবসে মহান ভাষা আন্দোলনের সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে। ১৯৫২-এর ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তস্রোতের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালি জাতীর মুক্তিসংগ্রামের গৌরবগাঁথা। ১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলার ছাত্রসমাজ আত্মদান করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। রক্তরাঙা অমর একুশে ফেব্রুয়ারি রক্তের প্লাবনের মধ্য দিয়ে আজ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় আসনে আসীন।

শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে  ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণকে রাঙিয়ে তুলেছে। 

এর ধারাবাহিকতায় ভোর ৫ টার সময় ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির সামনে থেকে  উপাধ্যক্ষ জনাব মোঃ আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের  উদ্দেশ্যে প্রভাতফেরিতে খালি পায়ে অংশ গ্রহণ করে।এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বৈত কন্ঠে গাইতে থাকে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি….., একুশের চেতনা ভুলিনাই ভুলবনা।” প্রভাতফেরি সকাল ৬ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়।  এরপর শিক্ষার্থীরা ভাইস প্রিন্সিপাল স্যারের নেতৃত্বে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করে, মাইকে  যখন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির  নাম ঘোষণা হয় তখন ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে সকাল ০৭:৩০ মিনিটে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি ইন্সট্রাক্টর মোঃ আরিফুল হক ও মেকানিক্যাল টেকনোলজির ইন্সট্রাক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার l পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজির ইন্সটাক্টর মোঃ আরিফুল হক। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা l কোরআন ও গীতা পাঠ করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের ১ম পর্বে শিক্ষার্থী মোঃ শাওয়াল এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের ১ম পর্বে শিক্ষার্থী সুপ্তি মজুমদার।  আলোচনা সভাটি পরিচালনা করে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির  ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজির ১ম পর্বের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বিশ্বাস  । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি। 

উক্ত সভার শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি  পরিবেশন করে l

এর পর বক্তব্য রাখেন আলোচনা সভার প্রধান অতিথি রোজিনা সুলতানা রোজী, লেখক ও মাস্টার ট্রেইনার গণিত অলিম্পিয়াড l প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার  সহ নাম না জানা সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন l এর পর তিনি বলেন, সকল মানুষের প্রথম ভাষা তার মাতৃভাষা। এটি তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং স্বাভাবিক সাহিত্যিক মেলবন্ধনের চেহারা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি মৌলিক উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হয়েছে – মানবিক সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদা বাড়ানো। 

শহীদ দিবস আমাদের কাছে একটি মুখ্য দিন, ভাষা শহীদদের সাহস আমাদের প্রেরণা দেয়। যেন আমরা আমাদের মাতৃভাষা এবং সংস্কৃতির মূল সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে পারি।

আমরা আজকে সকলের জন্য একটি সাধারণ প্রতিশ্রুতি নিয়ে চলেছি – আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে সংরক্ষণ করব, তার মান ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকব, এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং শহীদ দিবসের উপলক্ষে তাদের স্মৃতির সাথে সম্পর্কিত সকলকে  সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্পণ করব। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি এবং ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের উপাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ফরহাদ । তার তাদের  বক্তব্যে বলেন, ভাষা কেবল কথা বলার মাধ্যম নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক জ্ঞানের চাবিকাঠি ভাষার মাধ্যমে আমরা আমাদের চিন্তা ভাবনা প্রকাশ করি এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করি ভাষা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণ করে চলার পথে সহায়তা করে l তাই প্রত্যেককে নিজ নিজ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান l

অতিথিদের বক্তব্য শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা ও প্রতিযো শুদ্ধ বানান ও  রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান l অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন l

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান l ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির কালচারাল ক্লাবের শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য এবং গান পরিবেশন করে l

আলোচনা সভার শেষে ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ডেপুটি ডিরেক্টর কে এম পারভেজ ববি সকলকে একুশের চেনতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সারা বিশ্বে বাংলা ভাষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তী ঘোষণা করেন। 

Annual Picnic 2024.

The annual picnic of the Daffodil Institute of Engineering & Technology was held on Wednesday, February 7, 2024. Held at NS Island Resort, Jamaldi, Munshiganj.

Daffodil Institute of Engineering & Technology, to improve the relationship between students, teachers, officers, and employees, this picnic has been organized in which all the students, teachers, officers, and employees of the institute participate.

For the Annual Picnic, the students left the institution at 07:30 AM in 3 buses and arrived at the picnic spot at NS Island Resort at 09:30 AM. Everyone is welcome there with welcome drinks.

Note that the welcome drinks were fantastic. Everyone enjoyed taking selfies and group photos in the pleasant atmosphere. Then by water bus, we reached our destination NS Island Resort.

Students participate in various sports there. Notable games are played including football, relay race, haribhanga, marble race, chess, ludo, and ball throwing. This game continues till 02:00 pm.

  After the sports, the students stand in line according to their sections and collect lunch. Students reported that they were quite satisfied with the quality of the food.

  After the meal, a 30-minute break followed by a delightful cultural program. Students dance and sing in the event. Daffodil Family CEO Mr. Dr. Md. Nuruzzaman and Daffodil Institute of Engineering & Technology Principal (Acting) Mr. KM Hasan Ripon enjoyed the cultural program conducted by the students.

At the end of the cultural program, prize distribution began among the winners of various competitions. Daffodil Family CEO Mr. Dr. was present at the prize distribution. Md. Nuruzzaman and Daffodil Institute of Engineering & Technology Principal (Acting) Mr. K.M Hasan Ripon.

Daffodil Family CEO Mr. Dr. Md Nuruzzaman said in his speech, “Through the picnic, students act as cultural community resources and create bonding and cooperation between students and teachers, which plays an important role in maintaining the overall quality and standards of the institution ”.

Peace of mind is the main platform for the overall development and progress of the students of Daffodil Institute of Engineering & Technology. That is why such a big program is organized every year for the students.

বার্ষিক বনভোজন -২০২৪

ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির বার্ষিক বনভোজন গত ৭ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৪খ্রি. এনএস আইসল্যান্ড রিসোর্ট,জামালদি, মুন্সীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে । 

ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব  ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এবারের  বনভোজন আয়োজিত হয়েছে।যেখানে ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ  অংশগ্রহণ করে। 

বার্ষিক বনভোজনের  উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা  প্রতিষ্ঠান হতে সকাল ০৭:৩০ মিনিটে ৩টি  বাসযোগে রওনা হয়ে সকাল ০৯:৩০ মিনিটে পিকনিক স্পট এনএস আইল্যান্ড রিসোর্টে উপস্থিত হয়। সেখানে সকলকে ওয়েলকাম ড্রিংসের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় । 

উল্লেখ্য ওয়েলকাম ড্রিঙ্কসটি ছিল অসাধারণ।  মনোরম পরিবেশে প্রত্যেকেই মেতে উঠে নিজ নিজ  ছবি এবং গ্রুপ ছবি তোলায়। অতঃপর ওয়াটার  বাসযোগে আমরা আমাদের গন্তব্য এনএস আইল্যান্ড রিসোর্টে পৌঁছায়।

সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অংশগ্রহণ করে । উল্লেখযোগ্য ফুটবল, রিলে দৌড়, হাড়িভাঙ্গা ,মার্বেল দৌড়, দাবা, লুডু, বল নিক্ষেপ সহ বিভিন্ন খেলায় মেতে ওঠে ।এই খেলা দুপুর ০২ ঘটিকা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ।

 খেলাধুলা শেষ হবার পরেই শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিভাগ অনুযায়ী লাইনে দাঁড়িয়ে   দুপুরে খাবার সংগ্রহ করে। খাবারের গুণগত মান সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিল বলে জানায়। 

 খাবার গ্রহণের পর ৩০ মিনিট বিরতি দিয়ে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মেতেউঠে নাচে গানে। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সিইও জনাব ড. মোঃ নুরুজ্জামান ও  ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম হাসান রিপনসহ উপস্থিত সকলেই শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ  করেন। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ। পুরস্কার বিতরণে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির  সিইও জনাব ড. মোঃ নুরুজ্জামান ও  ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম হাসান । 

ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সিইও জনাব ড. মোঃ  নুরুজ্জামান তার বক্তৃতায় বলেন, “বনভোজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের সংস্থান হিসাবে কাজ করে এবং ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে আবদ্ধতা ও সহযোগিতা তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক মান এবং মান সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে”।

ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ধারক ও বাহকের প্রধান সোপান মানসিক প্রশান্তি । যে কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছরই এই ধরণের বৃহৎ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

DSC00203

ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কর্তৃক  সফলভাবে সম্পন্ন হলো Innovation & Skills Competition-2023.

ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কর্তৃক  সফলভাবে সম্পন্ন হলো Innovation & Skills Competition-2023.

আজ ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজি, Career Launch Pad এর উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন হলো Innovation & Skills Competition-2023. শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ডোমেনের   মোট ৬টি প্রজেক্ট নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত  হয়েছে।

তন্মধ্যে স্মার্ট অ্যাপস, ক্লাউড টেকনোলোজি এবং বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রজেক্টগুলো উল্লেখযোগ্য ছিলো। এই প্রোগ্রামের অংশগ্রহণের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তারা তাদের প্রযুক্তিসম্পন্ন দক্ষতাকে  চাকরির বাজারে তুলে ধরতে সক্ষম হবে এছাড়াও তারা  নিত্য নতুন আবিষ্কারে উৎসাহিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (সমন্বয় ও মূল্যায়ন) যুগ্ম সচিব মোঃ জোহর আলী। তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবন এবং সৃজনশীল বিকাশের জন্য উৎসাহিত করেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, Institutional Quality Assurance Cell(IQAC)এর পরিচালক,অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. ফজলুল হক। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সম্মানিত সিইও জনাব মোঃ নুরুজ্জামান, ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজির অধ্যক্ষ কে এম হাসান রিপনসহ সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

DSC00669

Innovation & Skills Competition-2023 Successfully Organized By Daffodil Institute of Engineering & Technology

The Innovation & Skills Competition-2023 was successfully completed on 22nd July 2023, under the initiative of Daffodil Polytechnic Institute’s Career Launch Pad. This competition aimed to showcase the talent and innovative power of technical students from different departments. A total of 6 projects were presented and circumscribed various domains such as smart apps, cloud technology, and electrical technology-based Projects. The event aimed to foster the development of student’s skills and promote technical education in the country, thereby enhancing the overall quality of technical education.

Students from different academic backgrounds participated in the Innovation & Skills Competition-2023. The event provided them a platform to exhibit their innovative ideas and technical project works. The competition featured projects related to smart apps, cloud technology, and electrical engineering based projects. 

The event aimed to inspire and encourage students to engage in research and development Works. Through their participation, students were able to promote their skills, creativity, and problem-solving abilities and they were able to nurture their skills as well as expose their engineering education to the real job market.

Md. Johar Ali, Member (Coordination & Assessment) Joint Secretary of the National Skill Development Authority, Honored the program as the chief guest. Professor Dr. A.K.M. Fazlul Haque, Director of the Institutional Quality Assurance Cell (IQAC), participated at the event as the Chief Justice. Also present at the event were Honorable CEO of Daffodil Family, Mr. Md Nuruzzaman, the Principal of Daffodil Institute of Engineering & Technology,, K M Hasan Ripon, as well as the heads of departments, teachers, and students from all departments.

The Overall Effect Of Fast Fashion: Part:02

Why is fast fashion so popular?

Even 15 years ago, when people buy clothes, they have to keep in mind that the clothes can be worn for a long time and its quality is good enough.In that case, how comfortable the garment is to the people and how long it can be used is very important.But as more and more people are celebrities in the social media entertainment world, and not only that, but also the micro-celebrities on social media, the kind of clothes and trends that influence each other psychologically, such fashions marginalized people emotionally to nurture that fashion within themselves.Which is why we often notice that if a social media celebrity wears a T-shirt with a tag or a message, we also think that we might want to buy a T-shirt like this.It is not uncommon for a person to follow a particular fashion but also to feel comfortable wearing different fashions in different seasons.The content plug is one of the few organizations that analyzes various contemporary issues. According to them, there is a strong link between the fashion industry and social media.

Picture Credits: The content plug

What is the main role of social media in this case?

In the US, over 60 per cent of clothing and fashion sales are still centered around social media trends.

The Zara fashion company is now, for the most part, thinking of ways to bring a variety of outfits to the market, such as the kind of celebrities seen on social media, and not only that, but it should be able to do so much faster than other companies. There are a number of medium-sized fashion company that send out clothes on social media to those who are fairly celebrity or have micro-celebrities, and are asked to publish a positive review on their YouTube channel or Facebook to increase their demand for clothing in the market. Statistically, many more have now started clothing lineups on a personal level and those micro-celebrities are publishing messages if they have a message through their t-shirts or clothes and in this way they market it as fast fashion which is part of it.

The most striking thing about fast fashion is that the fashion moves very fast and is developed very fast and it is sent to the consumer so that the quality of the fashion is not very good and the quality of the clothes is not very good but a message is provided by that fashion.  There are more thoughts to do which are always active on social media. Social media addiction makes people more dependent on fashion and they are more concerned with expressing any message or personality with fashion than with quality in fashion. Due to the above, the demand for fashion is easily met by the consumers through social media and they never think much about spending less money or spending more money to buy that fashion whether they need it or not.  Is done and plays a direct role in wasting money as well as environmental damage.

Source: Self-content with Google searching

Author

Md Ashikur Rahman

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

Buttonhole Machine Operation(Part-1)

বাটনহোল মেশিন অপারেশনঃ

এই ব্লগটি সম্পন্ন করার পর একজন শিক্ষার্থী বাটনহোল মেশিন দ্বারা সেলাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক ও ব্যবহরিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। সেলাইয়ের জন্য বাটনহোল মেশিন প্রস্ত্তুত করণ, মেশিনের যন্ত্রাংশ সেট করণ,বাটনহোল মেশিন সেলাইয়ে দক্ষতা অর্জন করণ,মেশিন পরিষ্কার করণ এই ব্লগ এর অন্তর্ভূক্ত ।

Buttonhole Machine

বৈদ্যুতিন বোতাম হোল সেলাই মেশিনের বৈশিষ্ট্যঃ


1. সর্বোচ্চ  উচ্চ উৎপাদন দক্ষতা সম্পন্ন
2. সুন্দর সেলাই, নিদর্শন নির্ভুলতা সম্পন্ন
৩. বড় মেশিনের মুখ বাটনহোল  সুবিধাজনক অপারেশন বুঝতে পারে।
৪. নিম্ন নয়েস সঙ্গে সুন্দর সেলাই।
৫. সহজ রক্ষণাবেক্ষণ ও খরচ কম ।

বাটনহোল মেশিন অপারেশন

                      

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

১.তৈরি পোশাক শিল্প (আর এম জি) কর্মক্ষেত্রে পোশাক তৈরিতে বাটনহোল সংশ্লিষ্ট প্রোপারটিজ, কম্পোনেন্ট ও যন্ত্রপাতির ধারনা লাভ ওব্যবহার করতে পারবে।

২.আর এম জি কর্মক্ষেত্রে হেলথ, সেফটি অ্যান্ড ইথিকস প্রাকটিস এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

৩. বাটনহোল সেলাই এর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (১) কাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে

পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড

১.১ কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী আত্নরক্ষামূলক সরঞ্জমাদি (PPE) সংগ্রহ ও পরিধান করবে।

১.২ পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (OSH) নিম্চিত করবে।

১.৩ স্পেসিফিকেসন অনুযায়ী টুলস ও ম্যাটারিয়াল নির্বাচন ও সংগ্রহ করবে।

১.৪ কর্মক্ষেত্রে জরুরী প্রয়োজনে নিরাপদ বর্হিগমন পথ সনাক্ত করবে। 

বিভিন্ন ধরনের বাটনহোল মেশিন অপারেশন

             

প্রত্যাশিত শিখনফলঃ (২) সেলাইয়ের জন্য মেশিন সেট করতে পারবে

পারদর্শিতা নির্ণায়ক / মানদন্ড

২.১ বাটনহোল মেশিন পরিষ্কার করবে।

২.২ বাটনহোল মেশিনের যন্ত্রাংশ চেক করবে।

২.৩ বাটনহোল সেলাইয়ের ম্যাটারিয়ালস, কাস্টমারের চাহিদা ও সুয়িং ম্যনুয়েল অনুযায়ী নিডেল নির্বাচন করবে।

২.৪ হোল টু হোল ডিসটেন্স নির্ধারণ করবে।

২.৪ সেলাইয়ের টেনশন ও এস পি আই (স্টিচ পার ইঞ্চি  নির্ধারণ করবে।

সোর্সঃ গুগল উইকিপিডিয়া ও বিকিউএফ

Asfakur Rahman Togor

Instructor (Textile & GDPM)

Department of Textile Engineering

Daffodil Polytechnic Institute, Dhaka.                                      

Fitra

ভূমিকা :

ফিতরা বা ফেতরা আরবী শব্দ। যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর নামে পরিচিত। ফিতরা বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে। রোজা বা উপবাস পালনের পর সন্ধ্যায় ইফতার বা সকালের খাদ্য গ্রহণ করা হয়। সেজন্য রমজান মাস শেষে এই দানকে যাকাতুল ফিতর বা সকাল‌ের আহারের যাকাত বলা হয়।

নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড়, সামর্থবান সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। ইবনে উমর থেকে জানা যায়ঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রীতদাস, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের যাকাতুল ফিতর এক ‘সা’ পরিমাণ খেজুর বা যব ওয়াজিব করেছেন। তিনি লোকদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।

সা এবং র্অধ সা :

ফিতরা প্রদানের পরিমাপ সংক্রান্ত আলোচনায় সা বহুল আলোচিত শব্দ। সা হচ্ছে আরবদেশে ওজন বা পরিমাপে ব্যবহৃত পাত্র। বাংলাদেশে যেমন ধান পরিমাপের জন্য একসময় কাঠা ব্যবহৃত হত। একজন মাঝামাঝি শারীরিক গঠনের মানুষ অর্থাৎ অধিক লম্বা নয় এবং বেঁটেও নয়, এই রকম মানুষ তার দুই হাত একত্রে করলে যে অঞ্জলি গঠিত হয়, ঐরকম পূর্ণ চার অঞ্জলি সমান হচ্ছে এক সা

ফিতরা পাবে যারা

গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিকে ফিতরা প্রদান করা যাবে। সামর্থ্যবান মুমিন নারী-পুরুষের ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্যবানদের অধীনস্ত পরিবারের সব সদস্যদের ফিতরাও দায়িত্বশীল ব্যক্তি আদায় করবেন। অর্থাৎ পরিবারের শিশু-কিশোর যদি অর্থের মালিক না হয় তবে বাবাই পরিবারের লোকদের ফিতরা আদায় করবেন।

এক কথায় সামর্থ্যবান নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সব স্বাধীন, পরাধীন এমনকি হিজড়া সম্প্রদারে ওপরই ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। বালেগ সন্তান যদি পাগল হয় তবে পিতার পক্ষ থেকে তা আদায় করা ওয়াজিব ৷

বেতনভুক্ত কাজের ব্যক্তির পক্ষে ফিতরা প্রদান করা মালিকের উপর আবশ্যক নয়। তবে মালিক ইচ্ছে করলে কাজের লোককে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন। তবে তিনি বেতন বা পারিশ্রমিক হিসেবে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন না ।

ফিতরা যা দিয়ে দেয়া যাবে

১.টাকা দিয়ে ফিতরা

২.খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা

১.টাকা দিয়ে ফিতরা

মুহাম্মদ সাঃ এর যুগে মুদ্রা হিসেবে দিরহাম প্রচলিত ছিলো। দিরহামের দ্বারা কেনা কাটা, দান খয়রাত করা হতো। তবু সাহাবী খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায় মুহাম্মদ সাঃ খাদ্য বস্তু দিয়ে ফিতরা প্রদান করতেন। এজন্য মুসলমান পন্ডিতদের বড় অংশ টাকা দিয়ে ফিতরা প্রদানের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করেন। ইমাম আহমদ রহঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের বরখেলাফ হওয়ার কারণে আমার আশঙ্কা হচ্ছে যে, তা যথেষ্ট হবে না।

২.খাদ্য দ্রব্য দিয়ে ফিতরা

  বর্তমান মূল্য :  ইসলামি শরীয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলাের যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। উন্নতমানের আটা বা গম দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫ (পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০ (তিনশ) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৪২০ (এক হাজার চারশ বিশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০ (এক হাজার ছয়শ পঞ্চাশ) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৩১০ (দুই হাজার তিনশ দশ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা/গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরােক্ত পণ্যগুলাের যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরােক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশােধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।।

   ইসলামি  ‍মতবাদ : প্রত্যেকের জন্য মাথাপিছু এক ছা‘ খাদ্যশস্য যাকাতুল ফিৎর হিসাবে বের করতে হবে। ‘ছা’ হচ্ছে তৎকালীন সময়ের এক ধরনের ওযন করার পাত্র। নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগের ছা‘ হিসাবে এক ছা‘-তে সবচেয়ে ভাল গম ২ কেজি ৪০ গ্রাম হয়। বিভিন্ন ফসলের ছা‘ ওযন হিসাবে বিভিন্ন হয়। এক ছা‘ চাউল প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়। তবে ওযন হিসাবে এক ছা‘ গম, যব, ভুট্টা, খেজুর ইত্যাদি ২ কেজি ২২৫ গ্রামের বেশি হয়। ইরাকী এক ছা‘ হিসাবে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম অথবা প্রমাণ সাইজ হাতের পূর্ণ চার অঞ্জলি চাউল। বর্তমানে আমাদের দেশে এক ছা‘তে আড়াই কেজি চাউল হয়।

অর্ধ ছা‘ ফিতরা আদায় করা সুন্নাত বিরোধী কাজ। মু‘আবিয়া -এর যুগে মদীনায় গম ছিল না। সিরিয়া হ’তে গম আমদানী করা হ’ত। তাই উচ্চ মূল্যের বিবেচনায় তিনি অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা দিতে বলেন। কিন্তু বিশিষ্ট ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী সহ অন্যান্য ছাহাবীগণ মু‘আবিয়া -এর এই ইজতিহাদী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশ ও প্রথম যুগের আমলের উপরেই কায়েম থাকেন। যারা অর্ধ ছা‘ গম দ্বারা ফিৎরা আদায় করেন, তারা মু‘আবিয়া -এর রায়ের অনুসরণ করেন মাত্র। ইমাম নবভী বলেন, সুতরাং অর্ধ ছা‘ ফিৎরা আদায় করা সুন্নাহর খেলাপ। রাসূল (ছাঃ) যাকাতের ও ফিতরার যে হার নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা রদবদল করার অধিকার কারো নেই।এ ব্যাপারে ওমর একটি ফরমান লিখে আমর ইবনে হাযম -এর নিকটে পাঠান যে, যাকাতের নিছাব ও প্রত্যেক নিছাবে যাকাতের যে, হার তা চির দিনের জন্য আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এতে কোন যুগে, কোন দেশে কমবেশি অথবা রদবদল করার অধিকার কারো নেই।

ফিতরার নিয়ম

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিজ্ঞা নেই।তরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধ নেই।

ফিতরা আদায়ের সেসব নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী ২ পরিমাপে ৫ জিনিস দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। আর তাহলো গম, যব, কিসমিস, খেজুর, পনির। এসব গুলোর মধ্যে গমের পরিমাপ হলো অর্ধ সা আর বাকিগুলোর পরিমাপ এক সা। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি দিয়ে এ ফিতরা আদায় করতে পারবেন। বর্তমান বাজারমূল্য হিসেবে তা তুলে ধরা হলো-

  •  গম/আটা : গম বা আটার পরিমাপ হবে অর্ধ সা। যা ৮০ তোলা সেরের মাপে ১ সের সাড়ে বারো ছটাক। আর কেজির হিসাবে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। তবে ন্যূনতম পূর্ণ ২ সের/কেজির মুল্য আদায় করা উত্তম ৷ যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা।
  • যব : যবের পরিমাপ হবে এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ২৭০ টাকা।
  •  কিসমিস : এর পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ১ হাজার ৫০০ টাকা।
  •  খেজুর : এর পরিমাপ এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ১ হাজার ৬৫০ টাকা।
  • পনির : পনিরের পরিমাপও এক সা। কেজির হিসাবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য- ২ হাজার ২০০ টাকা।

তবে যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির-এর ক্ষেত্রে ৪ কেজির মূল্য পরিশোধ করাই উত্তম।

( তবে আমার মতে যব অর্ধ সা হওয়ার পরিবর্তে এক সা হওয়া উচিত।কারণ আমাদের দেশে যব খুব সহজে পাওয়া যায় ,আর খেজুর পাওয়া দূর্লভ তাই খেজুর অর্ধ সা হওয়া উচিত। )

ফিতরা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত

ঈদুল ফিতরের দিন কোনো স্বাধীন মুসলমানের কাছে জাকাতের নিসাব তথা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা তার সমমুল্যের নগদ অর্থ কারো কাছে থাকলেই ওই ব্যক্তির জন্য ফিতরা ওয়াজিব।

এ সম্পদ ঋণ এবং মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হতে হবে। তবে ব্যতিক্রম হলো- জাকাতের জন্য এ সম্পদ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকতে হবে, আর ফিতরার ক্ষেত্রে এক বছর থাকা শর্ত নয়। আর এসব ব্যক্তির জন্য ফিতরা গ্রহণ করাও হারাম।

আবার বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র, স্থাবর সম্পদের মূল্য (যদি ব্যবসার জন্য না হয়) জাকাতের নিসাবের অন্তর্ভূক্ত নয় ৷ কিন্ত ফিতরার ক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র,ঘর-বাড়ি ও স্থাবর সম্পদ, ভাড়া বাড়ি, মেশিনারীজ, কৃষিযন্ত্র ইত্যাদি (উপার্জনের জন্য না হলেও) এসবের মূল্যের হিসাবও ফিতরার নেসাবে অন্তর্ভূক্ত হবে ৷

ফিতরা যখন ওয়াজিব হয়

ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা কখন আদায় করতে হয়

ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আর যদি কেউ কোনো কারণে ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারে তবে ঈদের পরেও তা আদায় করা যাবে। তবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতেন। কেননা গরিব-অসহায় এ টাকায় কেনাকাটা করে ধনীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে।

সূত্র : গুগল,

শাহনেওয়াজ সেরাজ সুবর্ণা

ইন্সট্রাক্টর অফ আর এস ডিপার্টমেন্ট

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

Difference Between Architecture and Civil Engineering

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উভয়ই পরিকল্পনা এবং অবকাঠামোগত ডিজাইনের সাথে জড়িত। আর্কিটেকচার নির্মাণ কাজের কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করে থাকে এবং নকশার শৈল্পিকতা, সৌন্দর্য, অনুভূতি এবং কার্যকারিতার উপর বেশি জোর দিয়ে থাকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নকশার কাঠামোগত উপাদানগুলিতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে, এবং নিশ্চিত করে নির্মাণ কাজটি স্বাভাবিক এবং চরম অবস্থা সহ্য করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট ও নিরাপদ থাকবে।

যদিও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ নকশা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত, তথাপি স্থপতিরা কাঠামোর নকশার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। একজন স্থপতি নির্মাণ কাজের আকৃতি, রঙ এবং স্থানসহ পরিপূর্ণ নকশাটি করেন এবং তারপর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পেশাদাররা নির্মাণ কাজের নকশাটি বাস্তবে নির্মাণ করার সম্ভাব্য উপায়গুলি বিশ্লেষণ পূর্বক বের করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ নির্মাণ কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন, নকশায় পরিবর্তন ও পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়া এবং স্থপতির নকশাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য কাঠামোগত মূল্যায়ন করে থাকেন।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, স্থাপত্যের প্রাথমিক কাজ হল নির্মাণ কাজের ডিজাইন করা এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দায়িত্ব হল নকশাটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং স্থপতিরা কখনও কখনও একই ধরণের কাজ করে থাকেন এবং এই দুটি পেশার মধ্যে একটি ভাল সম্পর্ক নির্মাণ কাজকে আরও কার্যকর, সফল এবং নিরাপদ করে তুলে। স্থপতিরা সকল কাজের উৎকৃষ্ট, নির্ভুল এবং নান্দনিক নকশা প্রণয়ন নিশ্চিত করেন, কারণ তারা বোঝেন যে কোনো নির্মাণ প্রকল্পের সাফল্যের জন্য দলগত প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের ক্ষেত্রে প্রধান পার্থক্যসমূহঃ

আর্কিটেকচার

১। আর্কিটেকচার কাজের কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার উপর বেশি গুরুত্ব প্রদান করে এবং নকশার শৈল্পিকতা, নান্দনিকতা এবং কার্যকারিতার উপর বেশি জোর দেয়।

২। স্থপতিরা কাজের প্রাক-নির্মাণ পর্যায়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত থাকে।

৩। স্থপতিরা তাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য বেশিরভাগ সময় অফিসে অতিবাহিত করেন।

৪। স্থপতিদের কিছু বিষয়ের উপর খুবই পারদর্শী হতে হয় যেমন নকশা প্রণয়নের দক্ষতা, উচ্চতর গণিত, যোগাযোগ এর দক্ষতা, কম্পিউটার এর উপর দক্ষতা, নির্মাণ কাজের কোড সম্পর্কে ভাল জ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কাজের দক্ষতা। 

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

১। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নকশার কাঠামোগত উপাদানগুলিতে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে, এবং নিশ্চিত করে নির্মাণ কাজটি স্বাভাবিক এবং চরম অবস্থা সহ্য করে যেকোনো পরিস্থিতিতে অটুট ও নিরাপদ থাকবে।

২। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প পরিচালনা করে থাকেন যেমন রাস্তা ও মহাসড়ক প্রকল্প, সেতু নির্মাণ প্রকল্প, পরিবহণ অবকাঠামোগত প্রকল্প, এবং আরও নানাবিধ নির্মাণ অবকাঠামোগত প্রকল্প।

৩। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা সরাসরি নির্মাণ কাজের সমস্ত পর্যায় তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

৪। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মীদের তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

৫। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা তাদের সময়কে ডেস্কের কাজ এবং সরাসরি সাইট তত্ত্বাবধানের মধ্যে ভাগ করে নেন।

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে কিছু পার্থক্য কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিদ্যমান কিন্তু এই দুই বিভাগই যেকোনো নির্মাণ এবং নির্মাণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবে রূপ প্রদান করার কারিগর এবং একে অপরের কাজের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। আমরা অনেকেই আর্কিটেকচারকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অংশ মনে করি বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংকে আর্কিটেকচার এর অংশ মনে করি। যার কারণ হল এই দুই বিভাগের কাজের ক্ষেত্রও একই এবং আমরা তাদের কাজ গুলকে একই মনে করি। এটি একটি ভুল ধারণা। কাজের ক্ষেত্রে এই দুই বিভাগ একসাথে কাজ করলেও তারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র দুটি বিভাগ।

লেখকঃ

মোঃ আসাদুজ্জামান রাসেল

বিভাগীয় প্রধান

আর্কিটেকচার এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি

ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট